প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাঁচা-মরার লড়াই হিসেবে দেখছে বিএনপি। নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন দল ক্ষমতার বাইরে। আগামীতে দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না এলে নেতা-কর্মীদের ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা এও বলছেন, গতবারের মতো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। আমরা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের বিষয়টিকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছি।'
-জানা যায়, বিএনপি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গড়ে ওঠা আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনী প্রস্তুতির দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা না থাকলেও ভিতরে ভিতরে কাজ শুরু করেছে তারা। বিএনপি নেতারা বলছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে তাঁদের নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে। এজন্য তাঁরা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। সব দলকে ঐক্যবদ্ধ করে এবার অলআউট মাঠে নামতে চান তাঁরা।
-জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। নির্বাচন কমিশনও চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রস্তুত করছে। সে হিসেবে নির্বাচনের বাকি আছে ১৭ মাস। বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার মতে, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় আন্দোলন বিএনপির জন্য 'বাঁচা-মরার লড়াই'। 'হয় এসপার, না হয় ওসপার'- এমন মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছে বিএনপি।
'উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করে। এরপর দুটি জাতীয় নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীন হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালে দলীয় সরকারের অধীনে ভোট বর্জন করে বিএনপি। সে সময় হরতাল-অবরোধের মতো রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুললেও কার্যত তত্ত্বাবধায়ক বা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয় দলটি।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাঁচা-মরার লড়াই হিসেবে দেখছে বিএনপি
তবে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে শেষ পর্যন্ত গণফোরামের ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে 'জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট' গঠন করে নির্বাচনে যায় বিএনপি। দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সে নির্বাচনে সাতটি আসন পায় দলটি। প্রথমে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত সংসদে যোগ দেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত বিএনপির সাত সংসদ সদস্য।